আগামীর জয়

PIN আগামীর জয়

২০১৯ সালের শেষ দিকে চীনে হঠাৎ এক মরণ ভাইরাসের খবর জানা গেল। দেখতে দেখতেই এটি সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ল। মানুষের জীবন থেকে শুরু করে অর্থনীতি সবই লন্ডভন্ড হলো এর তাণ্ডবে।

এরকম মহামারি মোকাবিলায় লকডাউন, বিধিনিষেধ, ভ্যাকসিন ইত্যাদির পাশাপাশি তথ্যপ্রযুক্তি বড় হাতিয়ার হয়ে উঠেছে। কারণ তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে লকডাউন বা বিধিনিষেধ জারি করেও জরুরি অর্থনীতি টিকিয়ে রাখা যায়।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কঠোর লকডাউন জারি করা হয়। এতে অফিস, আদালত পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়নি। ভার্চুয়াল দুনিয়ায় সবই চলেছে। এর বাইরেও জরুরি চিকিৎসা সেবা, পরামর্শ, পণ্য কেনাবেচা ইত্যাদি সেবা তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে চলেছে। প্রযুক্তির ব্যাপক বিস্তার না হলে বাংলাদেশে তা সম্ভব ছিল না।

বাংলাদেশ যদি প্রযুক্তিতে এগিয়ে না থাকতো—নির্দিষ্ট করে বলা চলে—গত দশ বছরের প্রযুক্তিখাতের যে উন্নয়ন হয়েছে, তা যদি না হতো, তাহলে আমরা থাকতাম এক প্রাগৈতিহাসিক আমলের প্রযুক্তি সম্পন্ন দেশ হিসেবে। এতে এই মহামারিকালে ভার্চুয়াল জগতে বিচরণ করা সম্ভব হতো না।

সজীব ওয়াজেদ জয় আগামী দিনের মডার্ন রাজনীতিবিদ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন ইতিমধ্যে। আবার তিনি তথাকথিত পোস্ট মর্ডানিস্টও নন। তিনি ঠিক সেই ধরনের রাজনীতিবিদ যারা কি না আগামীর বিশ্বকে নেতৃত্ব দেবে।

যাই হোক, উপরের কথাগুলো শুরুতে এ কারণে বললাম যে, আজ যার জন্মদিন, তার নামের সঙ্গে বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়ন অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। আজ সজীব ওয়াজেদ জয়ের জন্মদিন।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ দৌহিত্র আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বড় পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়। তার পিতা বাংলাদেশের বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ মিয়া।

সজীব ওয়াজেদ জয়ের কর্মকাণ্ড খোলা চোখে পর্যবেক্ষণ করলে বোঝা যায়, পূর্বসূরিদের সবার অসামান্য গুণাবলির দুর্দান্ত সম্মিলন ঘটেছে তার মধ্যে। তিনি নেতৃত্বগুণে ইতিমধ্যে চমক সৃষ্টি করেছেন। দেশের তরুণদের মাঝে নিজেকে এক আইকনিক লিডার হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন। কীভাবে করেছেন? ঠিক যেভাবে আগামী দিনের রাজনৈতিক চাহিদা, সেভাবে।

সজীব ওয়াজেদ জয় আগামী দিনের মডার্ন রাজনীতিবিদ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন ইতিমধ্যে। আবার তিনি তথাকথিত পোস্ট মর্ডানিস্টও নন। তিনি ঠিক সেই ধরনের রাজনীতিবিদ যারা কি না আগামীর বিশ্বকে নেতৃত্ব দেবে। তিনি মাত্র কয়েক বছরে বাংলাদেশে এমন কিছু বিষয়ের অবতারণা করেছেন যা আমাদের এক লাফে পরবর্তী ধাপে পৌঁছে দিয়েছে।

নেতৃত্ব দিতে গেলে বিচক্ষণতা একটি জরুরি বিষয়। সজীব ওয়াজেদ জয় যে উপায়ে দেশের তরুণ প্রজন্মের নেতা রূপে আবির্ভূত হয়েছেন সেটি চমকপ্রদ।

মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, হাইটেক পার্ক নির্মাণ, ইউনিয়ন পর্যায়ে ডিজিটাল সেন্টার, বাংলাদেশের ঘরে ঘরে ইন্টারনেট সেবার মতো অসংখ্য উদ্যোগ দেশকে তথ্যপ্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ করেছে। এখন আমরা আধুনিক বিশ্বের কাতারে দাঁড়িয়ে তালে তাল মিলিয়ে চলতে পারার যোগ্যতা অর্জন করেছি।

সজীব ওয়াজেদ জয় তথ্যপ্রযুক্তিতে আমাদের দেশকে সমৃদ্ধ করে যেন একটি বিমানের উড্ডয়ন ঘটিয়েছেন। এখন সেটি গন্তব্যে পৌঁছানোর পালা। সেই পথে চলার নেতৃত্বও তাকেই দিতে হবে।

নেতৃত্ব দিতে গেলে বিচক্ষণতা একটি জরুরি বিষয়। সজীব ওয়াজেদ জয় যে উপায়ে দেশের তরুণ প্রজন্মের নেতা রূপে আবির্ভূত হয়েছেন সেটি চমকপ্রদ। তিনি তার উন্নয়ন কাজকেই রাজনীতি হিসেবে বেছে নিয়েছেন।

দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে তিনি তরুণ প্রজন্মের জন্য নিজ উদ্যোগে কাজ করে চলেছেন অবিরত। যার ফলে আজকের তরুণ প্রজন্ম দারুণ দক্ষতা অর্জন করছে। অনেকেই উদ্যোক্তাও হচ্ছেন। এসবই একটি শক্তিশালী দেশ গড়ার খুবই জরুরি।

সজীব ওয়াজেদ জয় রাজনৈতিক পরিবারে সন্তান। ছোটবেলা থেকেই তিনি রাজনৈতিক ঘাত-প্রতিঘাত ও ক্ষমতা দেখে বড় হয়েছেন। তিনি জানেন, কী করতে হয়, কীভাবে করতে হয়।

রাজনৈতিক বিচক্ষণতা তার জিনগত। সঙ্গে আছে সততাও। নানা, মা, বাবা সবার দেশপ্রেম ও সততার রক্ত প্রবাহিত হচ্ছে তার ধমনীতেও। যার প্রমাণ আমরা পেয়েছি গত একযুগে।

দল ক্ষমতায় থাকলেও তিনি কোনো রাজনৈতিক সুবিধা নেননি। কাজ ছাড়া কোনো অকাজে তাকে কখনো দেখা যায়নি। তিনি নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন বাংলাদেশের জন্য।

তিনি খুবই সোজাসাপ্টা কথা বলতে পছন্দ করেন। ঠিক বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার মতো। এই বৈশিষ্ট্য নেতৃত্বের জন্য একটা বড় গুণ।

সব মিলিয়ে তিনি ঠিক সেই নেতা যাকে আগামীর বিশ্ব নেতৃত্বের আসনে বসিয়ে সমৃদ্ধ হতে চাইবে।

আমাদের ভাগ্য ভালো যে, আমরা একজন পূর্ণাঙ্গ নেতা পেয়েছি। তিনি যে পারেন তা ইতিমধ্যে প্রমাণ করেছেন। ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা থেকে বাস্তবায়নকারী তিনিই। ফলে আগামীতেও তিনি আরও বহু চমক দেখাবেন তা বাজি ধরে বলা যায়।

তিনিই আমাদের জয়। আগামীর জয়।

আরো পড়ুন
অনন্য নেত্রী শেখ হাসিনা
উগ্রবাদী দল এবং বাস্তবতা